বিহারের ছাপরা জেলায় ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়েই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় এক ব্যক্তিকে। তার ভিডিও ভাইরাল হয় সৈশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর টিকাকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট নার্সকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নার্স একটি নতুন সিরিঞ্জ বার করে এক ব্যক্তিকে ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন। তার আগে ভায়াল থেকে ভ্যাকসিন বার করেননি। যে ব্যক্তিকে ফাঁকা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল, তিনি পরে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন। তাঁর এক বন্ধু ইঞ্জেকশন দেওয়ার ভিডিও তুলেছিলেন। তিনিই ওই ব্যক্তিকে জানান, তাঁকে ফাঁকা ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি ফের টিকা নেবেন? তিনি বলেন, 'সে ব্যাপারে পরে ঠিক করব।


ফাঁকা সিরিঞ্জ থেকে ইঞ্জেকশন নেওয়ায় আমার মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে।' তাঁর বন্ধু বলেন, 'মজা করার জন্যই আমি ভিডিও তুলছিলাম। দেখতে চাইছিলাম, ইঞ্জেকশন নেওয়ার সময় বন্ধুর কী প্রতিক্রিয়া হয়। কিন্তু পরে ভিডিও ছবিটি নিজে দেখতে গিয়ে বুঝতে পারি, নার্স সিরিঞ্জের প্ল্যাস্টিক কভারটি খুলেই বন্ধুকে ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন। সিরিঞ্জে ভ্যাকসিন ভরেননি।' ওই টিকাকরণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বলেন, তিনি এবিষয়ে তদন্ত করবেন। মে মাসের শেষে এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, 'আমরা আশা করছি, জুলাই শেষ হওয়ার আগেই এক কোটি মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে দেশে ভ্যাকসিনের উত্‍পাদন বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে বিদেশ থেকেও যত বেশি সম্ভব ভ্যাকসিন আনাতে হবে।' শুক্রবার মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, শহরের অসংখ্য অভিজাত প্রতিষ্ঠানে টিকাকরণ ক্যাম্প করে কোভিশিল্ড, কো-ভ্যাকসিনের নামে ২০০০-এর বেশি মানুষের শরীরে ভুয়ো টিকা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ। সেইসঙ্গে আদালত মুম্বই পুলিশ ও বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনকে পরবর্তী শুনানির আগে হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে বলেছে নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তারা কী গাইডালাইন করতে চায়। আদালতে মুম্বই পুলিশ মেনে নিয়েছে দু'ডজনের বেশি ক্যাম্প হয়েছে মুম্বইতে। যেগুলি থেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে। জাল ভ্যাকসিন নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কলকাতাতেও। এখানে ইতিমধ্যে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্তে নেমে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবকে আটক করা হয়েছে। মুম্বইতে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও আদালতে পুলিশ জানিয়েছে চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। মূল অভিযুক্ত আদিত্য কলেজ অফ আর্কিটেকচারের দুই ডিরেক্টর ডক্টর মণীশ ত্রিপাঠী এবং ডক্টর আশিষ মিশ্র পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রথম এই ভুয়ো ভ্যাকসিনে ক্যাম্পের কথা প্রকাশিত হয়। তারপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এর মধ্যেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সমাজকর্মী সিদ্ধার্থ চন্দ্রশেখর। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে মহারাষ্ট্র সরকার এবং মুম্বই পুলিশ এবং বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনকে কার্যত তুলোধনা করেন প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি গিরিশ এস কুলকার্নি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours