ছেলে ১৮ বছরে পড়ল আর বাবার সব দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল এমনটা নয়। ডিভোর্সের পর সন্তানের শিক্ষা ও অন্যান্য দায়িত্ব সবটাই মায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে এমনটা নয়।'মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের গ্র্যাজুয়েশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ও আয় না করা পর্যন্ত একজন বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলাকে ১৫ হাজার টাকা অন্তর্বর্তী খোরপোশের নির্দেশ প্রসঙ্গে আদালতের এই পর্যবেক্ষণ।
উচ্চ আদালত বলেছে যে, ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের দিকে চোখ বন্ধ করে রাখতে পারি না। এটা আশা করা বৃথা যে একা মা তাঁর স্বামীর খোরপোশের টাকায় নিজের এবং ছেলের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। স্বল্প পরিমাণের বোঝা বহন করবে। তার মেয়ের।

উচ্চ আদালত, ২০১৮ সালের কোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো মহিলার আবেদন বিবেচনা করার সময়, তার রক্ষণাবেক্ষণ দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কেবল তার দুই সন্তানকে, যারা তার সাথে বসবাস করছে।
ছেলের বড় খরচ, যখন সে বড় হয়, এখন বহন করে চলেছে। মায়ের দ্বারা

ঐ দম্পতি ১৯৯৭ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের দুটি সন্তান আছে। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে এবং ২০ এবং ১৮ বছর বয়সী একটি পুত্র এবং কন্যা রয়েছে।
আদালত জানিয়েছে মায়ের সঙ্গেই দুজন সন্তান থাকেন। কিন্তু তারা যাতে অভুক্ত না থাকে সেটা নিশ্চিত করার জন্যই খোরপোশের ব্যবস্থা। সেকারণে আদালত নির্দেশ দিয়েছে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিতে হবে যতদিন না পর্যন্ত ছেলেটি গ্র্য়াজুয়েশন পাশ না করে অথবা আয় করা না শুরু করে। যেটা আগে হবে সেটাই গ্রাহ্য করতে হবে। প্রসঙ্গত দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ক্লার্ক ওই মহিলার বেতন ৬০ হাজার টাকা ও তাঁর প্রাক্তন স্বামীর আয় ২০২০ সালে নভেম্বর মাসে ছিল ১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা।

পারিবারিক আদালতের পূর্বের আদেশ অনুসারে, পুত্র নিজের পায়ে যতদিন না দাঁড়াচ্ছে এবং কন্যা যাতদিন না পর্যন্ত নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে বা তাঁর বিয়ে হচ্ছে, ততদিন তাদের দায়িত্ব নিতে হবে বাবাকে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours