শুক্রবার রাতে গণপিটুনি'তে মৃত্যু তিন গরু চোরের। ঘটনাটিঘটে তুলাশিখর ব্লক এলাকায়। খোয়াই মহকুমার তুলাশিখর এলাকার এক বাড়ি থেকে তিন গরু চোর মিলে পাঁচটি গরু চুরি করে। বিষয়টি টের পেয়ে যায় বাড়ির মালিক। এরপর গরুগুলি গারিতে করে পালায় তিন চোর। ইতিমধ্যে গরু চুরির ঘটনার খবর যায় অন্যান্য এলাকা গুলিতে। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা গরু চোরদের আটক করতে বিভিন্ন সড়কে ওত্‍পেতে বসে। যথারীতি গাড়ি সহ চুরির গরু নিয়ে নবঞ্চয় পাড়া এলাকায় আসতেই গাছের লক ফেলে আটক করে স্থানীয়বাসিন্দারা। গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় তিন গরু চোর। আশ্রমকোবড়া পাড়া ও শুভ্রাম চৌধুরী পাড়া দিয়ে পালাতে থাকে তিন চোর।

তাদের তিন জনকে পৃথক পৃথক স্থান থেকে আটক করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর শুরু হয় গনরোষ। কল্যাণপুর থানার পুলিশ দুই গরু চোরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কল্যাণপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে ওপর গরু চোরকে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ উদ্ধার করে মুঙ্গিয়াকামী হাসপাতালে নিয়ে যায়।

কিন্তু তিন জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের জিবিতে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা খোয়াই জেলা জুড়ে। জিবিতে চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জয়েদ হুসেন(২৮)বাড়ি সোনামুড়া রাঙ্গামাটি, সইফুল ইসলাম (১৮)বড়দোয়াল এবং বিল্লাল মিয়া(৩০) বাড়ি শ্রীমন্তপুর। তাদের তিন জনের বাড়ি সোনামুড়া এলাকায়।

পুলিশ চুরি কান্ডে ব্যবহৃত গাড়ি ও গরু গুলি উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায় গরু চোর সন্দেহে স্থানীয় মানুষ তাদের মারধোর করে ফেলে রাখে। এই খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে জিবিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।

মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে তিন গরু চোর। চুরি কান্ডে পাঁচজন জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয় গ্রামবাসী। তাদের মারধর করা হয়।

বাইকে দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় করোনা কারফিউ মধ্যে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় আইনকে তারাই হাতে তুলে নিল। তবে সেদিনের ঘটনায় এলাকায় দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। স্থানীয়রা দাবি তোলে এলাকায় যাতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কারণ তারা গরু চোরের উপদ্রপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours