পৌষ সংক্রান্তি মানেই পিঠে-পুলি। আর ঘুড়ি। আজ বাংলার অনেক জায়গাতেই আকাশে রঙিন ঘুড়ি দাপিয়ে বেড়ায়। গ্রামেগঞ্জে-মফঃস্বলে এই প্রথা বহুদিনের। কিন্তু সংক্রান্তি ও ঘুড়ির সম্পর্ক ঠিক কোথায়! কেন আজকের দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর এই পরম্পরা চলে আসছে!
আজকের দিনে বাংলার বহু জায়গায় অনেকেই দল বেঁধে ঘুড়ি ওড়ান। একসঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোর মজাই আলাদা। এখন অবশ্য ব্যস্ততার যুগে অনেকেই আর সময় করে উঠতে পারেন না। তার উপর কম্পিউটার গেমের যুগে ঘুড়ি এখন আর আকর্ষণের কেন্দ্রে নেই।তবুও বহু মানুষ পুরনো ঐতিহ্য এখনও আঁকড়ে রয়েছেন।
ঘুড়ি আসলে আশা, খুশি, উল্লাস, স্বাধীনতা, শুভ সন্দেশের প্রতীক। সংক্রান্তির শুভক্ষণে তাই ঘুড়িই যেন খুশি ও স্বাধীনতার বার্তা বহন করে।
মানুষের আশা-আকাঙ্খা, আনন্দ, সুখও যেন উর্ধ্বমুখী হয়, শুভ দিনে এই আশাতেই রঙিন ঘুড়ি আকাশে ওড়ানো হয়।
উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের অনেক জেলায় ঘুড়িকে বলা হয় গুড্ডি। আজকের দিনে সেইসব জেলার বাসিন্দারাও ঘুড়ি ওড়ানোয় মেতে ওঠেন।
ঘুড়ি ওড়ালে মন ভাল থাকে। সেইসঙ্গে মগজের ব্যায়ামও হয়। ঘুড়ি যাতে না কাটে তাই সব সময় মস্তিষ্ক কাজে লাগাতে হয়। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ মনে করে, ঘুড়ি ওড়ালে নতুন ভাবনার উদয় হতে পারে।
একজন ঘুড়ি ওড়াবে। আরেকজন লাটাই ধরবে। অর্থাত্, ঘুড়ি ওড়ানোর ঐতিহ্যের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া বাড়ানোর ধারা অব্যহত রয়েছে।
ঘুড়ি ওড়ানো কিন্তু ধৈর্যের কাজও বটে। তাই আজকের দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর ভাল দিক স্রেফ একটি নয়, অনেক।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours