ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করলে স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ে। নানান অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। আর এ কথা মাথায় রাখতে অবিলম্বে ধূমপান ছেড়ে দেওয়াই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। আর এক্ষেত্রে কেরলের এক ব্যক্তি নজির গড়েছেন।
বেণুগোপাল নায়ার নামে ওই ব্যক্তি আট বছর আগে ধূমপান ছেড়ে দিয়েছিলেন। আর বিড়ি-সিগারেট না খাওয়ার খরচ ছেঁটে এই কতগুলি বছরের মধ্যেই বেশ কিছু টাকা জমিয়ে ফেলেছেন তিনি। এখন তো একটা নতুন বাড়ি তৈরির পরিকল্পনাও করছেন তিনি।
ধূমপান ছেড়ে প্রাক্তন নির্মাণ ক্ষেত্রের কর্মী প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা জমিয়েছেন। আর এভাবেই ধূমপানের অপচয় এড়িয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সঞ্চয়ের কাজ চালিয়ে যাওয়াই মনস্থ করেছেন তিনি।
নায়ার জানিয়েছেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সে ধূমপানের বদভ্যাস গড়ে উঠেছিল তাঁর। সস্তায় বিড়ির প্যাকেট মিলত। এজন্য একের পর এক প্যাকেট ফুঁকে উড়িয়ে দিতেন তিনি। সেই সঙ্গে সিগারেটও খেতেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নায়ার যখন ধূমপান ছাড়েন তখন সিগারেটের প্যাকেটের দাম ছিল ৫০ টাকা। চেন স্কোকার নায়ারের প্রতিদিন দেড় বা দুই প্যাকেট সিগারেট লাগত।
বয়স ৬০ পেরোনোর পর বুকের যন্ত্রণার কারণে ধূমপান ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর থেকে স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখতে শুরু করেন।
আর ধূমপান ছেড়ে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে অতিরিক্ত সঞ্চয় হয়, সেই টাকা দিয়ে বাড়ির দোতলা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন নায়ার।
এভাবে ধূমপায়ীদের এই বদভ্যাস ত্যাগের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন নায়ার।
ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্যের উপকার তো বটেই, সেইসঙ্গে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থও বেঁচে যায়। চলতি করোনা অতিমারী পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের ১৮-২৪ বছরের ধূমপায়ীদের মধ্যে ৭২ শতাংশই ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। ২৫ থেকে ৩৯ বছরের ধূপপায়ীদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। ধূমপানগীন বিশ্ব সংক্রান্ত একটি ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
১৮ থেকে ৬৯ বছরের যে ধূমপায়ীদের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে, তাঁদের ৬৬ শতাংশই এই বদভ্যাস ছাড়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours