প্রতিদিন আক্রান্ত বাড়ছে অথচ অনেকেই মানছেন না সামাদজিক বিধি। সেসব দেখে বাসিন্দাদের অনেকেই অবিলম্বে ফের একটানা লকডাউনের দাবি তুলছেন।
#বর্ধমান:ফের বর্ধমান শহরে একদিনে ৪৯ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। এই নিয়ে জেলার সদর শহর বর্ধমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০পার হয়ে গিয়েছে।  জেলায় এ দিন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে দশ জনই বর্ধমান শহর এলাকার বাসিন্দা। সব মিলিয়ে শহরের সব প্রান্তেই সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের রাস্তায় ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন ভুলে দোকানে বাজারে ভিড় করছেন। সেসব দেখে বাসিন্দাদের অনেকেই অবিলম্বে ফের একটানা লকডাউনের দাবি তুলছেন।
বাসিন্দারা বলছেন, এখনই লকডাউন না করা গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এমনিতেই শহরজুড়ে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার নিয়েছে। অনেক এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। এভাবে বাজারে দোকানে ভিড় হলে সেই সংক্রমণ ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। করোনা সংক্রমণ রোধে কী করণীয় তা ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনও।
বর্ধমান শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে শহরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০জন। জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, শহরের প্রায় সর্বত্রই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। শহরের কোনও অংশেই প্রায় করোনা ছড়াতে বাকি নেই। বাইরে যাওয়ার কোনও কেস হিস্ট্রি নেই এমন অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।
শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন আট জন। পাঁচ  নম্বর ওয়ার্ডের আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডে ছয় জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। পঁচিশ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও তিন নম্বর ওয়ার্ড , ষোল নম্বর ওয়ার্ড, তিরিশ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দুই, এগারো, চোদ্দ, পনেরো, তেইশ, উনত্রিশ নম্বর ওয়ার্ড  সহ অনেক ওয়ার্ডেই নতুন করে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। বর্ধমান শহর লাগোয়া বর্ধমান এক নম্বর ব্লক ও বর্ধমান দু নম্বর ব্লকেও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা।
করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাড়ছে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। বাসিন্দারা বলছেন, শহরের পাড়ায় পাড়ায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে কন্টেইনমেন্টজোন করা হয়েছে। তারপরও করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। তাই নাগরিক সমাজের একাংশ বলছে আলাদা আলাদাভাবে কন্টেইনমেন্ট জোন  না করে পুরো শহর জুড়েই একটানা লকডাউন জরুরি। সেই লকডাউন যাতে যথাযথভাবে করা যায় তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। নচেৎ সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours