পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের চন্দ্রচুর মন্দিরে রীতিমত ঢাক ঢোল বাজিয়ে ইন্দ্রদেবকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করতে দেখা গেল মহিলাদের। হাতে ফল, প্রসাদ নিয়ে রীতিমত নিষ্ঠাভরে পুজো দেন তাঁরা।

শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ধেয়ে আসছে জাওয়াদ (Cyclone Jawad)। আমফান (Cyclone Amphan) ও ইয়াসের (Cyclone Yaas) স্মৃতি এখনও তাজা রয়েছে।আর সেই কারণে জাওয়াদ-আতঙ্কে কাঁপছে আসানসোল (Asansol)। সেখানে ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই এবার স্বয়ং ভগবানের দ্বারস্থ হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভগবান ইন্দ্রের (God Indra) শরণাপন্ন তাঁরা।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman district) আসানসোলের চন্দ্রচুর মন্দিরে রীতিমত ঢাক ঢোল বাজিয়ে ইন্দ্রদেবকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করতে দেখা গেল মহিলাদের। হাতে ফল, প্রসাদ নিয়ে রীতিমত নিষ্ঠাভরে পুজো দেন তাঁরা। ইন্দ্রদেবকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টায় গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুজো করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি এবং উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনি ও রবিবার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতে কাটবে বলে অনুমান হাওয়া অফিসের। শনিবার উপকূলের সব জেলাতেই বৃষ্টিপাত হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুরে। আর দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও হাওড়ায় শুধু ভারী বৃষ্টি হবে। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। এছাড়া পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ লাগোয়া নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হবে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে।


তবে শুধুমাত্র বৃষ্টিই নয় তার সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়াও। সমুদ্রের উপরে হাওয়া বইতে শুরু করবে ৪ তারিখ থেকে। ৪ তারিখ ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে প্রতি ঘণ্টায় হাওয়া বইবে। বিকেলে ধীরে ধীরে এই গতিবেগ বাড়বে। ৫ তারিখ ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে বইবে হাওয়া। ৬ তারিখ বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলোতে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। আর ওইদিন কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলিতে ৩০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে বলে জানানো হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, ইয়াসের সময় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল আসানসোলবাসীকে। বিশেষত উত্তর আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙ্গা, মহল্লা, কাল্লা সহ বিভিন্ন মন্দির, জাতীয় সড়ক জলের তলায় চলে গিয়েছিল। ভিটে ছাড়া হয়েছিলেন বহু মানুষ। সে দিকে নজর রেখে প্রশাসনের তরফে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে মাইকিং। তা এখনও চলছে। এ প্রসঙ্গে এলাকাবাসীর বক্তব্য, "কীভাবে রক্ষা করব নিজেদের? বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধস্ত হচ্ছে মানব জীবন। তাই এবার ভগবানের প্রতি আস্থা রেখে মনের জোর বাড়াতেই পুজো দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" যদিও প্রশাসনের তরফে সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে। রয়েছে উদ্ধারকারী দল, আসছে এনডিআরএফ। তবু জাওয়াদ-আতঙ্কে আসানসোলবাসীর একমাত্র ভরসা ইন্দ্রদেব!
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours