ওয়ার্ক ফ্রম হোম (WFH), অনলাইন ক্লাস সবটাই এখন অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর ফলে (Headphone) ব্যবহার প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠেছে।চিকিৎসকরা বলছেন, আগে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শ্রবণক্ষমতা কমে যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, অনেক কম বয়স থেকেই কানের একাধিক সমস্যার মুখে পড়ছে মানুষজন
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাকালে তো কবে থেকেই স্কুল, কলেজ, অফিস যাওয়ার পাট চুকেছে। সব কাজই হচ্ছে বাড়ি থেকে। স্কুলের পড়াশোনাই কিংবা অফিস, এখন সবটাই বাড়িয়ে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম (WFH), অনলাইন ক্লাস সবটাই এখন অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর ফলে (Headphone) ব্যবহার প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠেছে। অনলাইন ক্লাস হওয়ার দরুণ শিশুদেরও হেডফোন ব্যবহার বাড়ছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ে হেডফোন ব্যবহার অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছে শিশু ও কিশোরদের। কানের নানা রোগে ভুগছে তারা, অনেকের শোনার সমস্যা হচ্ছে। এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য।
হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে সরাসরি অডিয়ো কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। চিরতরে শ্রবণ শক্তি হারাতে পারেন। দীর্ঘ সময় হেডফোনের ব্যবহার করতে হলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিতে ভুলবেন না। হাই ভলিউম-এ গান শুনবেন না। ইয়ারফোন কারোর সঙ্গে ভাগ না করাই ভাল। না হলে কিন্তু সহজেই কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই হেডফোন-এর মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে। গত সাত, আট মাস ধরে দৈনন্দিন জীবনে হেডফোনের ব্যবহার বেড়েছে এবং তা অনেকটা কাজের স্বার্থেই। বাড়িতে বসে অফিসের ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দেওয়া বলুন, কিংবা ইন্টারভিউ অথবা ছোটদের অনলাইন ক্লাসে পড়া বা পড়ানো – সবেতেই হেডফোনের ব্যবহার সুবিধাজনক।তবে নির্দিষ্ট সময় পরপর হেডফোনকে দূরে সরিয়ে না দিলে সমূহ বিপদ। চিকিৎসকরা বলছেন, আগে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শ্রবণক্ষমতা কমে যেত। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, অনেক কম বয়স থেকেই কানের একাধিক সমস্যার মুখে পড়ছে মানুষজন, যার অন্যতম কারণ এই হেডফোন ব্যবহার।
শুধু কি শব্দের তীব্রতার কারণে শ্রবণে সমস্যা সেটা কিন্তু নয়। হেডফোন ব্যবহারের হাত ধরে আরও নানাবিধ সমস্যার মুখে পড়তে পারি আমরা। সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, হেডফোন ব্যবহারের পর পরিষ্কার না করে বারবার যদি তা কানে লাগিয়ে কাজ করেন, তাহলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই প্রতিবার ব্যবহারের পর হেডফোনও স্যানিটাইজ করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া ভালোভাবে কানও পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। নাহলে দিনশেষে কানের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারেন। বিশেষত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এসব যত্ন নিতেই হবে অভিভাবকদের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours