মন্দির খোলায় খুশি হোটেল ব্যাবসায়ী থেকে ফুল বিক্রেতা, পরিবহন ব্যাবসায়ীরাও

আজ থেকে ফের দর্শনার্থীদের জন্য খুলল তারাপীঠ মন্দির। করোনা পরিস্থিতিতে মানতে হবে একাধিক বিধিনিষেধ। রথযাত্রার দিন দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুললেও, পয়লা অগাস্ট ফের বন্ধ হয়ে যায়।
সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে আজ থেকে খুলে গেল তারাপীঠ মন্দির। মন্দির খোলায় খুশি হোটেল ব্যাবসায়ী থেকে ফুল বিক্রেতা, পরিবহন ব্যাবসায়ীরা। মন্দির বন্ধের জন্য রুজি রোজগার বন্ধ ছিল তাঁদের। 
গর্ভগৃহে প্রবেশ করা যাবে না, বাইরে থেকে মা তারাকে দর্শন করতে হবে পূর্ণ্যার্থীদের। ভোরের মঙ্গল আরতির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভক্তদের জন্য খুলে দেয়া হল তারাপীঠ মন্দির।
দেশের করোনা আবহের জন্য মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্দির কমিটি আগেই। মন্দির বন্ধ ছিল প্রথমে ৯৩ দিন। আনল পর্বে খুলেছিল তারাপীঠ মন্দির। রথের দিন অর্থাৎ ২৩ জুন ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দির। কিছুদিন মন্দির চলার পর আবার মন্দির কমিটি ১ আগস্ট থেকে মন্দির বন্ধ করেন। 
আজ মন্দিরে পুজো দিতে আসা পুণ্যার্থীদের দাবি দীর্ঘ দিন থেকে অপেক্ষা করছিলেন তারা এই দিনটার জন্য। গর্ভগৃহে সাধারণ পুণ্যার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না, বাইরে থেকে মাতারাকে দর্শন করতে হবে। এছাড়া অঞ্জলি দেওয়া যাবেনা, মন্দিরের ভেতর থেকে নাটমন্দিরে অঞ্জলি দিতে হবে।
ভোগের ভান্ডারা মন্দির চত্তরে দেওয়া যাবে না তারাপীঠ মহাশ্মশান এ সেই ভান্ডারা দিতে হবে। মন্দিরের তিনটি গেটে স্যানিটাইজার টানেল বসানো হয়েছে এবং পুণ্যার্থীদের প্রবেশের সময় তাপমাত্রা মাপার পর মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে পুণ্যার্থীদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পুণ্যার্থীদের লাইন করে ঢোকানো হচ্ছে পুজো দেওয়ার জন্য।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সরকারী নির্দেশিকা মেনে তারাপীঠ মন্দির খোলা হয়েছে। মন্দির চত্বরে যাতে ভিড় না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে গর্ভগৃহের সামনে বাঁশ বেঁধে দেওয়া হবে। গর্ভগৃহের সামনে আগের মতো দর্শনার্থীদের সঙ্গে কোনও সেবায়েত বা পাণ্ডা থাকবেন না।
দর্শনার্থীরা এক এক করে গর্ভগৃহের সামনে মা তারার দর্শন করে মন্দিরের চাতালে সেবায়েতদের সঙ্গে দেখা করবেন। এতে অনেক বেশি পারস্পরিক দূরত্ব থাকবে এবং মূল মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে ভিড় এড়ানো যাবে বলে দাবি মন্দির কমিটির।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours