WEATHER

Top News


কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সনাতন সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত হতে চলা ‘পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গঙ্গাসাগর থেকে রওনা হলেন কয়েকশো সনাতনী ভক্ত ও মানুষজন।


ধর্মীয় ধ্বনি ও স্লোগান দিতে দিতে এই বিপুল সংখ্যক সনাতনী মানুষের যাত্রা ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জানা গিয়েছে, গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ভক্তরা একত্রিত হয়ে সড়ক পথে কলকাতার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।
যদিও আয়োজক সংস্থা এটিকে একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলে দাবি করেছে, কিন্তু বিরোধী মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের বিশাল জনসমাবেশ পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে।

এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সনাতনী ধর্মপ্রাণ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিতে চাইছে আয়োজকরা। ব্রিগেডমুখী এই জনস্রোত রাজ্যের রাজনীতিতে এবং ধর্মীয় জাগরণের ক্ষেত্রে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লক দুর্ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপ নিলো স্থানীয় প্রশাসন। 


নামখানা থেকে বকখালী যাবার দুই পাশে পরিষ্কার রাখার জন্য জনসাধারণের উদ্দেশ্যে মাইকিং করে বিশেষ বার্তা দিল ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা পক্ষ। জানা গেছে রাস্তার সংলগ্ন অবৈধভাবে বিভিন্ন সামগ্রী রেখে দেওয়ার যান চলাচল বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল। সেই কারণে সুন্দরবন পুলিশ জেলা এবং ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা পক্ষ থেকে। মাইকিং এর মাধ্যমে জনসাধারণকে পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে যে মেইন রাস্তা দুই পাশে কোন প্রকার ইট বালি টোন চিপ এডবেস্টার ধানের গাদা কাঠের গোড়া রাখা যাবে না। এছাড়া অন্য প্রকার সামগ্রী সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নিয়ম গ্রহণ করা হচ্ছে। এর নির্দেশ অমান্য করলে আইন অনুযায়ী করা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রশাসনের এই তৎপরতায় এলাকার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে এবং পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্টাফ রিপোর্টার  মুন্না সরদার


রেল মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত চেয়ার কার ও স্লিপার ক্লাস কামরা যুক্ত করা হচ্ছে সেই সমস্ত রুটে, যেখানে সবথেকে চাহিদা বেশি। আজ, ৬ ডিসেম্বর থেকে অতিরিক্ত কামরা নিয়ে ট্রেন চলবে।


IndiGo-র ফ্লাইট বাতিল হয়েছে? আপনার সুবিধার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করল Railways
বাতিল ইন্ডিগোর বিমান। ভোগান্তি যাত্রীদের।


বিগত কয়েকদিনে প্রায় হাজার খানেক বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো (IndiGo)। এখনও স্বাভাবিক হয়নি ইন্ডিগোর পরিষেবা। প্রায় লক্ষাধিক যাত্রী বিমান বাতিল, দেরিতে চলার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বড় পদক্ষেপ করল ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways)। বিমানে যাদের যাওয়ার কথা ছিল, তাদের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করা হল। এছাড়া অতিরিক্ত কামরাও জোড়া হয়েছে একাধিক ট্রেনে।




হঠাৎ বিমান বাতিল হওয়ায়, বিকল্প যাতায়াতের অপশনের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। চারটি স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। বহু ট্রেনে যুক্ত করা হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ৩৭টি প্রিমিয়াম ট্রেনে অতিরিক্ত ১১৬টি কামরা যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য়ে দক্ষিণ রেলওয়েতে (Southern Railway) সবথেকে বেশি যাত্রী বহনের জন্য অতিরিক্ত কামরা জোড়া হয়েছে। ১৮টি ট্রেনে অতিরিক্ত কামরা যুক্ত করা হবে।

রেল মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত চেয়ার কার ও স্লিপার ক্লাস কামরা যুক্ত করা হচ্ছে সেই সমস্ত রুটে, যেখানে সবথেকে চাহিদা বেশি। আজ, ৬ ডিসেম্বর থেকে অতিরিক্ত কামরা নিয়ে ট্রেন চলবে। উত্তর রেলওয়েতে আটটি ট্রেনে অতিরিক্ত কামরা যুক্ত করা হবে।

দিল্লিগামী একাধিক ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিহার-দিল্লি রুটের ট্রেনগুলিতেও অতিরিক্ত কামরা যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভুবনেশ্বর-নয়া দিল্লির রুটেও বেশ কয়েকটি ট্রেনে অতিরিক্ত কামরা যুক্ত করা হয়েছে।

 কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর হুমায়ুনের কর্মসূচিতে আর কোনও বাধা নেই। হুমায়ুনও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসন বাধা দিলে তিনি এড়িয়ে যাবেন। রাজ্যের উপরেই নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে আগে থেকেই মুর্শিদাবাদে যে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে, তারাও নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন। 

 'মসজিদ হলে মসজিদই হবে, রাজনীতির আখড়া নয়', হুমায়ুনকে সতর্ক করলেন সিদ্দিকুল্লা
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বার্তা


বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই বাবরি মসজিদ তৈরির কথা বলে আসছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পরে শিলান্যাসের দিনক্ষণ নির্ধারণও করে দেন তিনি। আস্তে আস্তে দল তাঁর পাশ থেকে সরে যায়। এমনকী সাসপেন্ড করে দেয়। তারপরও বাবরি মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্তে অনড় হুমায়ুন। আজ, শনিবার দুপুর ১২টায় শিলান্যাসের কথা জানিয়েছেন বিধায়ক। তার আগে হুমায়ুনকে সতর্ক করলেন তৃণমূলের অন্যতম সংখ্যালঘু নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে হুমায়ুনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ নেতা তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর দাবি, শুধুমাত্রা জেদের বশে এভাবে মসজিদ করা যায় না। সংখ্যালঘুদেরও এই মসজিদ নিয়ে সতর্ক করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক কারণে কোনও মসজিদ করা ঠিক নয়।



এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর হুমায়ুনের কর্মসূচিতে আর কোনও বাধা নেই। হুমায়ুনও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসন বাধা দিলে তিনি এড়িয়ে যাবেন। রাজ্যের উপরেই নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে আগে থেকেই মুর্শিদাবাদে যে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে, তারাও নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন।

অন্যদিকে, রাজভবনে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ একটি সেল। নাম ‘অ্যাক্সেস পয়েন্ট’। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে এই সেল। এই কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে যাতে কোনও রকমের অশান্তি বা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেই আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

ডেডলাইনের চাপ সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে বিএলও-দের পরিবারের তরফে। সম্প্রতি সেই বিএলও-দের টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে কমিশন। এদিকে, টাকা কেন ঢুকছে না, তা নিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বিএলও-রা।

 টাকা পাচ্ছেন না BLO-রা, রাজ্যের কাছে বকেয়া ৯০ কোটি
বিক্ষোভে বিএলও-রা (ফাইল ছবি)


 রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও টাকা দেওয়া হচ্ছে না, তাই বুথ লেভেল অফিসারদের টাকা মেটাতে সমস্যা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও (BLO)-দের প্রাপ্য টাকা বাবদ প্রায় ৯০ কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এখনও কোনও টাকা না আসায় বিএলও-দের পারিশ্রমিক মেটানো সম্ভব হয়নি। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ৭০ কোটি টাকা সরকারের তরফ থেকে আসতে চলেছে বলেই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

মোট ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন প্রত্যেক বিএলও। আগামী সপ্তাহে টাকা এলেই বেশিরভাগটাই দিয়ে দেওয়া হবে বিএলও-দের। বাকি জেলাশাসকদের কিছু বিল আছে, সেখানে দেওয়া হবে। যে টাকা বাকি থাকবে সেটা এসআইআর শেষ হয়ে যাওয়ার পর দিয়ে দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহেই বিএলও-দের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে।


বাবরি' নামেই আপত্তি, এবার মুখ খুললেন মৌলানাদের একাংশ
কোথায় লুকিয়ে 'ভূত'? ধরতে এবার কমিশনের ৭ দফা নির্দেশ
এসআইআর-এর যে কাজ চলছে, তাতে বিএলও-দের বাড়ি বাড়ি ঘুরে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে হয়েছে, তারপর সেগুলি আবার সংগ্রহ করতে হয়েছে। অনুপস্থিত ভোটারদের বাড়ি একাধিকবার যেতে হয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে অনেক বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এমনকী ডেডলাইনের চাপ সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে বিএলও-দের পরিবারের তরফে। সম্প্রতি সেই বিএলও-দের টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে কমিশন।

আগে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হত বিএলও-দের। ঘোষণা অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা এবার থেকে ১২ হাজার টাকা করে পাবেন। শুধু বিএলও-রাই নন, বিএলও সুপারভাইজররাও এবার থেকে ১২ হাজার টাকার বদলে ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন বলেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া, এআরও(ERO)-রা এবার থেকে ৩০ হাজার টাকা করে পাবেন। এইআরও (AERO)-রা ২৫ হাজার টাকা করে পাবেন। আগে তারা কোনও টাকা পেতেন না। ২০১৫ সাল থেকে বিএলও এবং বিএলও সুপারভাইজররা এই ধার্য ভাতা পেয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি সেই ভাতা বাড়িয়ে দেওয়া হল প্রায় ১০ বছর পর।
 এসআইআর আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম রাজনৈতিক সভা করেন মতুয়াগড় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। এরপর সভা করেন মালদহ ও মুর্শিদাবাদে। এসআইআর নিয়ে কোনওরকম উদ্বেগ না করার জন্য সাধারণ মানুষকে বার্তা দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস দেন।

বাড়ছে ভোটের উত্তাপ, এবার নদিয়ায় সভা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


পশ্চিমবঙ্গে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে মাস কয়েক বাকি। ভোটের উত্তাপ অবশ্য এখন থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলির চাপানউতোর বাড়ছে। রাজ্যে এখন আবার এসআইআরের কাজ চলছে। এই আবহে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় জনসভা শুরু করেছেন। এবার নদিয়ায় সভা করবেন তিনি। আগামী ১১ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। সেই সভার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শনিবার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে আসেন এডিজি সাউথ বেঙ্গল-সহ কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ও অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। 

এসআইআর আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম রাজনৈতিক সভা করেন মতুয়াগড় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। এরপর সভা করেন মালদহ ও মুর্শিদাবাদে। এসআইআর নিয়ে কোনওরকম উদ্বেগ না করার জন্য সাধারণ মানুষকে বার্তা দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস দেন। প্রত্যেকটি সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, তিনি ভোটের রাজনীতি করেন না। মানুষের রাজনীতি করেন।



Mamata Banerjee Rally In Nadia (1)
কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠ পরিদর্শন পুলিশের

আনুষ্ঠানিকভাবে মমতার সভার কথা জানানো না হলেও এদিন কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে, প্রবেশ পথের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে পুলিশ। রাজনীতির কারবারিবার বলছেন, বনগাঁর পাশাপাশি নদিয়াতেও মতুয়াদের একটা বড় অংশ বসবাস করেন। ফলে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে জনসভা থেকে মমতা কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার। 

একদিকে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে আর পাশেই তৈরি হবে মঞ্চ, সেখানে উপস্থিত থাকবেন মউলানারা। দু'দিকই একেবারে প্রস্তুত। রাতেই হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ। নিরাপত্তার দিক নিশ্চিত করছে পুলিশ প্রশাসন। আর ভোর হতে দেখা গেল, অনেকেই ইট মাথায় করে নিয়ে হাজির হচ্ছেন।


সন্দেশখালি-ক্যানিং-ভাঙড় থেকে বেলডাঙায় বাড়ছে ভিড়, 'আবেগের টানে এসেছি', বলছেন সংখ্যালঘুরা
বেলডাঙায় ভিড় বাড়ছে


শনিবার দিনভর গোটা রাজ্যের নজর থাকবে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। হুমায়ুন কবীর দাবি করেছেন, বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে সামিল হবেন হাজার হাজার মানুষ। সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। রাতেই এলাকা পরিদর্শন করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূল থেকে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া হুমায়ুন। পুলিশের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেছেন তিনি। এদিন সকাল থেকেই দেখা গেল, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে যাচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। কোনও রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়া ভোর থেকে একে একে হাজির হচ্ছেন তাঁরা।

একদিকে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে আর পাশেই তৈরি হবে মঞ্চ, সেখানে উপস্থিত থাকবেন মউলানারা। দু’দিকই একেবারে প্রস্তুত। রাতেই হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ। নিরাপত্তার দিক নিশ্চিত করছে পুলিশ প্রশাসন। আর ভোর হতে দেখা গেল, অনেকেই ইট মাথায় করে নিয়ে হাজির হচ্ছেন। তাঁরা চান, তাঁদের দেওয়া ইটেই গাঁথা হোক বেলডাঙার বাবরি মসজিদ।


 মমতা বড় হিন্দু না শুভেন্দু বড় হিন্দু, প্রতিযোগিতা চলছে: হুমায়ুন
প্রশ্ন করে জানা গেল, কেউ গিয়েছেন ক্যানিং থেকে, কেউ সন্দেশখালি থেকে, কেউ ভাঙড়, কেউ ইটাহার, কেউ সুন্দরবন, কেউ বিষ্ণপুর. কেউ দেগঙ্গা থেকে। রাজনৈতিক পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলছেন, “আমরা কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত নই। মসজিদ হচ্ছে বলেই শুধু এসেছি।” আবার কেউ রাজনৈতিক দলের কর্মী হওয়ার কথা স্বীকার করলেও, বলছেন, “এখানে এসেছি মুসলিম হিসেবে। মসজিদ হচ্ছে, তাই আবেগের টানে এসেছি।”

কেউ গাড়ি ভর্তি ইট নিয়েহাজির হচ্ছেন, আবার যার আর্থিক ক্ষমতা তেমন নয়, তারা ২-৩টে ইট নিয়েও হাজির হচ্ছেন। NH-12-এর ঠিক পাশেই মসজিদ তৈরি করার কথা হুমায়ুনের। সেখানেই সকাল থেকে জমায়েত বাড়ছে। তবে তাঁরা চান, শুধু মসজিদ নয়, পাশাপাশি স্কুল-হাসপাতালও তৈরি হোক বেলডাঙায়।




উত্তরবঙ্গে শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। স্বাভাবিকের কাছেই থাকবে তাপমাত্রা। শীতের আমেজ চলবে। তাপমাত্রার বড়সড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আর দক্ষিণবঙ্গেও সব বাধা কেটে গিয়েছে। ফলে শীতল হাওয়ার পথে কোনও বাধা নেই। একাধিক জায়গায় নামল পারদ।

একধাক্কায় ১০ ডিগ্রিতে নামল পারদ, উইকেন্ডে জাঁকিয়ে ঠান্ডা, কলকাতাতেও হাড় কাঁপবে শীতে

আর কোনো বাধা নেই। শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেল বাংলা জুড়ে। শনিবার মরশুমের শীতলতম ভোর দেখল কলকাতাবাসী। শীতের মরসুমে প্রথমবার ১৪ ডিগ্রির ঘরে নামল কলকাতার পারদ। এদিন আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও নেমেছে। এরাজ্যে আপাতত কোনও সিস্টেম নেই। ফলে শীতের পথেও কোনও বাধা নেই। অবাধ পশ্চিমের শীতল হাওয়া প্রবেশ করছে।

পশ্চিমে জেলাগুলিতে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে পারদ। আগামী সাতদিন রাজ্যে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ১৫ ডিগ্রির নীচে নেমেছে। সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা এরমকই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সকালের দিকে শিশির পড়বে ও পথ-ঘাট কুয়াশায় ঢেকে যেতে পারে। বেলা বাড়লে আকাশ হবে পরিষ্কার। উপকূলের দিকে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।



 গায়ে পাকিস্তানের পতাকা, চাষের জমিতে এই জিনিস পেতেই হাই অ্যালার্ট জারি করল BSF
সকাল-সন্ধ্যে শীতের আমেজ অনুভূত হবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচেই থাকবে। গত মঙ্গলবারও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ছিল কলকাতার পারদ। বৃহস্পতিবার সকালে সেই তাপমাত্রা কমে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছয়। শুক্রবার সামান্য বেড়ে ১৭ ডিগ্রি হয় আর আজ শনিবার ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উত্তরবঙ্গে শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া। স্বাভাবিকের কাছেই থাকবে তাপমাত্রা। শীতের আমেজ চলবে। তাপমাত্রার বড়সড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিঙে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকবে তাপমাত্রা।

কোথায় কত হল তাপমাত্রা, একনজরে:

শ্রীনিকেতনে ১০.২ ডিগ্রি

কল্যাণীতে ১০.৩ ডিগ্রি

বাঁকুড়ায় ১০.৯ ডিগ্রি

বর্ধমানে ১১ ডিগ্রি

পানাগড়ে ১১.২ ডিগ্রি

পুরুলিয়ায় ১২.৪ ডিগ্রি

মেদিনীপুরে ১২.৫ ডিগ্রি

আলিপুরে ১৪.৫ ডিগ্রি

দমদমে ১৪.৯ ডিগ্রি



নিজামুদ্দিন চৌধুরীর পর এদিন আরও এক কৃষককে পাওয়া গেল, যাঁর জমি রয়েছে পাশেই। এদিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান দেখতে এসেছেন মোহিত শেখ নামে ওই কৃষকও। যে জমিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে, তার আল লাগোয়া জমির মালিক মোহিত শেখের পরিবার। জমির পরিমাণ প্রায় ১৫ কাঠা। মোহিত শেখের ৫ ভাই-বোনের জমি। জমির একটা অংশ বেড়া দেওয়া। আর একটা অংশ খোলা।


একফালি জায়গায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, বাবরি মসজিদের জন্য জমি পাবেন হুমায়ুন?
কী বলছেন পাশের একটি জমির মালিক মোহিত শেখ?


বেলডাঙা: ভোর থেকে লোক জড়ো হচ্ছেন। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলার মানুষজন পৌঁছে গিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। আর কয়েকঘণ্টা পরই ঘটা করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে বাবরি মসজিদের। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে জমি নিয়ে। বাবরি মসজিদের জন্য পর্যাপ্ত জমি পাবেন তো সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর? কী বলছেন আশপাশের জমির মালিক?




বাড়ছে ভোটের উত্তাপ, এবার নদিয়ায় সভা মমতার
আজ(শনিবার) বেলডাঙায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একফালি জমিতে হচ্ছে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান। জমিটি মেরেকেটে দেড় থেকে দু’কাঠা। দূর থেকে বহু মানুষ ইট নিয়ে এসে জড়ো করছেন সেই জমিতেই। কিন্তু, হুমায়ুন কবীর বাবরি মসজিদকে ঘিরে যে পরিকল্পনা করেছেন, তাতে কয়েক বিঘা জমি লাগবে। সেই জমি তিনি পাবেন কি না, তা নিয়ে কিছুদিন থেকেই প্রশ্ন উঠছে।

কয়েকদিন আগে এখানে নিজামুদ্দিন চৌধুরী নামে এক জমির মালিক তাঁর জমি ঘিরে দেন। তিনি বলেছিলেন, “বাবরি মসজিদ একটা বিতর্কিত ইস্যু। সেই আবেগ নিয়ে কেন খেলতে চাইছেন? এটা ছ বিঘা জায়গা। এই জায়গার মালিক আমি। কাউকে জায়গা বিক্রি করিনি। আর বাবরি মসজিদ কোথায় হবে, সেটা যিনি বানাবেন তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন।”

নিজামুদ্দিন চৌধুরীর পর এদিন আরও এক কৃষককে পাওয়া গেল, যাঁর জমি রয়েছে পাশেই। এদিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান দেখতে এসেছেন মোহিত শেখ নামে ওই কৃষকও। যে জমিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে, তার আল লাগোয়া জমির মালিক মোহিত শেখের পরিবার। জমির পরিমাণ প্রায় ১৫ কাঠা। মোহিত শেখের ৫ ভাই-বোনের জমি। জমির একটা অংশ বেড়া দেওয়া। আর একটা অংশ খোলা।

মোহিত শেখ বললেন, জমির ফসল যাতে নষ্ট না হয়, তাই তিনি জমি বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন। এখন মানুষের আবেগ দেখে খুলে দিয়েছেন। এই জমি কি উনি দান করেছেন কিংবা বিক্রি করেছেন? মোহিত শেখ বললেন, “আমরা চাষাবাদ করে খাই। এই একটাই জমি রয়েছে। জমি বিক্রি কিংবা দান করিনি।” জমি বিক্রির কোনও প্রস্তাব কি তিনি পেয়েছেন? বৃদ্ধের উত্তর, আপাতত নয়। তবে প্রস্তাব পেলে আগামীতে তিনি ভেবে দেখবেন বলে জানালেন।

সবমিলিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলেও বাবরি মসজিদের জন্য হুমায়ুন পর্যাপ্ত জমি পাবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছেই। তবে এদিন এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হুমায়ন বলেন, “যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা ভবিষ্যতে উত্তর পেয়ে যাবেন।”

শুধু বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য হুমায়ুনকে যে সাসপেন্ড করা হয়নি, তা বুঝিয়ে দিয়ে কুণাল বলেন, "বাংলায় কোনও ব্যক্তি কিংবা ব্যক্তিগণ তাঁদের জায়গায় মন্দির, মসজিদ, গির্জা কিংবা তাঁদের ধর্মের আরাধনার জায়গা করতেই পারেন। তার জন্য তাঁকে বহিষ্কার বা তাঁর প্রতি কোনও শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা এগুলো হতে পারে না। এগুলো কখনও তৃণমূল কংগ্রেস করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।"


শুধুই কি বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য হুমায়ুনকে সাসপেন্ড? বড় কথা কুণালের
হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে কী বললেন কুণাল ঘোষ?


গত কয়েকমাসে তাঁর একাধিক মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সতর্ক করা হয়েছে। তবে তাঁর মুখে লাগাম পরানো যায়নি। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি নিয়েও অনড় থেকেছেন। এই আবহে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাসপেন্ড হওয়ার পরই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুনও। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, শুধুমাত্র বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য কেন হুমায়ুনকে সাসপেন্ড করা হল? এই প্রশ্নেরই এবার জবাব দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বাবরি মসজিদ তৈরির পিছনে ‘আসল খেলা’-র কথা তুলে ধরলেন তিনি।

হুমায়ুনকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বললেন কুণাল?


ব্রিটিশ ও জার্মান গাড়ি ছেড়ে জাপানি গাড়িতে উঠলেন মোদী ও পুতিন! এর মধ্যে কী কূটনীতি?
শুধু বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য হুমায়ুনকে যে সাসপেন্ড করা হয়নি, তা বুঝিয়ে দিয়ে কুণাল বলেন, “বাংলায় কোনও ব্যক্তি কিংবা ব্যক্তিগণ তাঁদের জায়গায় মন্দির, মসজিদ, গির্জা কিংবা তাঁদের ধর্মের আরাধনার জায়গা করতেই পারেন। তার জন্য তাঁকে বহিষ্কার বা তাঁর প্রতি কোনও শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা এগুলো হতে পারে না। এগুলো কখনও তৃণমূল কংগ্রেস করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। কিন্তু, যদি কোনও ব্যক্তি অন্য রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের ফাঁদে পা দিয়ে ধর্মের মোড়কে রাজনৈতিক অঙ্কে সেই ধর্মকেন্দ্রিক কোনও ইভেন্টকে দিয়ে ভোটের রাজনীতির বিষাক্ত মেরুকরণের মায়াজাল তৈরি করতে চান এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেন। তিনি যদি দলবিরোধী কাজ করেন কিংবা সাংগঠনিকভাবে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা করেন। সেক্ষেত্রে বিষয়টা আর ধর্মের বলে থাকে না।”

এরপরই তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সব ধর্মকে সম্মান করে। কিন্তু, কিছু লোক যখন ধর্মের নামে রাজনৈতিক ইভেন্ট করে, যেমন অমুক কণ্ঠে গীতা পাঠ। তখন আমরা গীতার বিরোধিতা করি না। ওই ইভেন্টের বিরোধিতা করার অবকাশ থাকে। তেমনই কেউ মসজিদ তৈরি করলে করতেই পারেন। কিন্তু, সেটা যদি অন্য রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত কিংবা প্ররোচনার ফাঁদে পড়ে একটি রাজনৈতিক ইভেন্টে পরিণত হয় ও তার উদ্দেশ্য অন্য কিছু থাকে, সেক্ষেত্রে সেটা সাংগঠনিক শৃঙ্খলার পর্যবেক্ষণের আওতায় পড়ে যায়। ফলে কেউ যদি বলেন, আমাকে অমুক তৈরির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে, সেটা একদম মিথ্যা কথা। মন্দির, মসজিদ তৈরির জন্য তৃণমূল ব্যবস্থা নেয়নি, নেবে না।”

এর আগে হুমায়ুনকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “ধর্ম নিয়ে রাজনীতি যারা করে, তাদের সঙ্গে দল কোনও সম্পর্ক রাখবে না।” বেলডাঙায় কেন বাবরি মসজিদ তৈরি করার কথা বলা হল, সেই প্রশ্নও তোলেন ফিরহাদ। পুরো বিষয়টাতে বিজেপির ইন্ধন রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। ফিরহাদ বলেছিলেন, “প্রত্যেকবার ভোটের আগে কোনও না কোনও গদ্দারকে নিয়ে গিয়ে কার্ডটা খেলে। এবার হুমায়ুন ভাইকে ধরেছে। বিজেপির কথাতেই এই বিভেদের রাজনীতি করা হচ্ছে। যখন দেখল এসআইআর করে কিছু হচ্ছে না, তখন বিজেপি এই বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে।”

ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। দুই শিবিরের মধ্যে কার্যত সংঘর্ষের আবহ তৈরি হয়। মুহূর্তেই খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


ব্যাপক উত্তেজনা ভাঙড়ে, দিনে-দুপুরে চলল গুলি! তৃণমূলের কাঠগড়ায় আইএসএফ
ব্য়াপক উত্তেজনা এলাকায়


ফের গুলি চলল ভাঙড়ে। তৃণমূল নেতাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। ভাঙরের উত্তর কাশিপুর থানার কাঠালিয়া সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। রবিবার শোনপুরে তৃণমূলের একটি ছাত্র যুব জনসভা রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই উপলক্ষে ভোগালী দু’নম্বর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি আলিনুর মোল্লা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব কাঠালিয়া থেকে শোনপুর এলাকায় যাচ্ছিলেন। তখনই আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয়ে তাদের দেখে গালিগালাজ করে। তখনই এক রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ। 

ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। দুই শিবিরের মধ্যে কার্যত সংঘর্ষের আবহ তৈরি হয়। মুহূর্তেই খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই শিবিরের কর্মীদেরই সরিয়ে দেওয়া হয়। আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তারা সবটাই অস্বীকার করেছে। ঘটনার পর থেকেই চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। এলাকায় টহল দিচ্ছে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। 



 সমাজবিরোধীরা এই কাজ করেছে। একাধিক থানায় ওদের বিরুদ্ধে কেস রয়েছে। সবার হাতে হাতিয়ার ছিল। এক রাউন্ড গুলিও চালায়। আমরা দ্রুত প্রশাসনকে জানাই। বিধায়ককেও জানিয়েছি। যতক্ষণ না ওরা গ্রেফতার হচ্ছে আমরা আন্দোলনের ডাক দেব। নওশাদ সিদ্দিকীর ইন্ধনেই ওরা আমাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল।” পাল্টা আইএসএফ নেতা ওহিদুল ইসলাম বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। ওরা নিজেরাই ঝামেলা করেছে। ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলে পাগলা কুকুর হয়ে গিয়েছে। ওদের জলাতঙ্ক হয়েছে।”   


হুমায়ুন কবীর আগেই জানিয়েছিলেন, বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের অনুষ্ঠানে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। সৌদি আরব থেকে দুইজন কাজি আজ সকালেই এসে পৌঁছেছেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ কনভয়ে তাদের আনা হয়েছে।

মদিনা থেকে এসেছেন ২ কাজি, বাবরি মসজিদের ভিত্তি স্থাপনে বিরিয়ানির খরচ শুনলেই মাথা ঘুরে যাবে...
বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন।


হাজারো বিতর্ক, তবু থামানো গেল না হুমায়ুনকে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) তৈরি করবেনই তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। ইতিমধ্যেই তিনি ফিতে কেটে, রিমোটের মাধ্যমে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন হুমায়ুন। বিপুল জনসমাগম হয়েছে এই মসজিদের শিলান্যাস ঘিরে। মদিনা থেকে এসেছেন দুইজন মৌলবী। বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ঘিরে এলাহি আয়োজন যেমন করা হয়েছে, তেমনই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।




মমতা বড় হিন্দু না শুভেন্দু বড় হিন্দু, প্রতিযোগিতা চলছে: হুমায়ুন
হুমায়ুন কবীর আগেই জানিয়েছিলেন, বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের অনুষ্ঠানে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। ইসলামের পবিত্র স্থান, মদিনা থেকে দুইজন কাজি আজ সকালেই এসে পৌঁছেছেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ কনভয়ে তাদের আনা হয়েছে। অন্যদিকে, সন্দেশখালি, ক্যানিং সহ দূরদূরান্ত থেকে বহু সংখ্য়ালঘু মানুষ মাথায় ইট বয়ে আনছেন ভিত্তিপ্রস্থরের জন্য।



বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনকে কেন্দ্র করে এলাহি খাওয়া-দাওয়ারও আয়োজন করা হয়েছে। এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় লাখের কাছাকাছি মানুষের জন্য শাহী বিরিয়ানির আয়োজন করা হয়েছে। বিরিয়ানি তৈরির বরাত পেয়েছে মুর্শিদাবাদের সাতটি ক্যাটারিং।

হুমায়ুন ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ৪০ হাজার অতিথির জন্য বিরিয়ানির প্যাকেট এবং এলাকাবাসীর জন্য আরও ২০ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু খাবারের ব্যবস্থাতেই ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। সভামঞ্চ ও অন্যান্য খরচও ৬০-৭০ লক্ষ টাকা পার করছে। ৪০০ অতিথির বসার জন্য ১৫০ ফিট দীর্ঘ মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যার খরচ পড়েছে ১০ লাখ টাকা।

বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের অনুষ্ঠানে প্রায় ৩ হাজার ভলান্টিয়ার কাজ করছে। পাশাপাশি বিশাল পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এই জায়গায়।

বেলডাঙা ও রানিনগর পুলিশের ৩ হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ১৯ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। বিকেল ৪টের মধ্যে এলাকা ফাঁকা করে দিতে বলা হয়েছে।





 স্ত্রীর উপর অমানসিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। 


হাত, পা বেঁধে গলায় বেল্ট ঝুলিয়ে মারধর করে সারা শরীরে কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করা হয়েছে। পাশাপাশি মাথার চুল গোঁড়া থেকে সম্পূর্ণ কেটে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ক্যানিংয়ের কুমারসা মাঝেরপাড়া এলাকার ঘটনা। বুধবার রাতভোর স্ত্রী কারিমা মিস্ত্রিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত স্বামী আজিজুল সর্দারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কারিমা স্বামীর বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আপাতত বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত। 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে বারুইপুর থানার বেলেগাছি এলাকার বাসিন্দা কারিমার সাথে ক্যানিংয়ের মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা আজিজুলের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি বছর ছয়েকের সন্তানও রয়েছে। বর্তমানেও কারিমা অন্তঃসত্ত্বা। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সংসারের সমস্ত কাজ সব সময় করতে পারেন না। অভিযোগ সেই কারণে আজিজুল ও তার পরিবারের সদস্যরা মাঝেমধ্যেই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে কারিমার উপর। সেই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দিন দুয়েক আগে বাপের বাড়ি চলে যান কারিমা। বুধবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন আজিজুল। অভিযোগ বাড়িতে এনেই ঘরের দরজা বন্ধ করে কারিমার উপর অত্যচার শুরু হয়। গভীর রাতে কোনভাবে আজিজুলের থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাপের বাড়ি ফোন করেন কারিমা। তাঁরাই এসে নিজেদের মেয়েকে উদ্ধার করেন। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।