চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার ভিমারডাঙ্গা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা অলোক ঘোষ অন্যান্য দিনের মতোই বাড়ি থেকে অনতিদূরে নিজের জমির ফসল দেখতে গিয়েছিলেন।


 বুনো শুয়োরের থেকে ফসল বাঁচাতে আলের ধারে বেআইনি বিদ্যুৎবাহী তারের বেড়া। জমিতে ফসল দেখতে গিয়ে পাশের জমি মালিকের লাগান সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। তবে ঘটনা চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায়। বেআইনিভাবে বিদ্যুতের তার লাগানো পাশের জমির মালিক সাকির আলি খান ও সিরাজুদ্দিন খান প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে মাটিতে পুঁতে দেয় ওই যুবকের দেহ। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় উদ্ধার হয় দেহটি। আপাতত অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার ভিমারডাঙ্গা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা অলোক ঘোষ অন্যান্য দিনের মতোই বাড়ি থেকে অনতিদূরে নিজের জমির ফসল দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরিবার ও প্রতিবেশীদের তরফে এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। হঠাৎই কিছু মানুষ ওই যুবকের পায়ের জুতো এবং তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফসলের জমির আলের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। তখনই তারা দেখতে পান বেআইনি বিদ্যুৎবাহী তারের বেড়াটি। সন্দেহ হওয়ায় আলের কাছে গিয়ে বাসিন্দারা দেখেন ঝোপঝাড় লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। যেন কোনও জিনিসকে আলের উপর দিয়ে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভেজা মাটিতে তাই রয়ে গিয়েছে টেনে নিয়ে যাওয়ার দাগ। উদ্যোগ নিয়ে তারাই সেই দাগ বরাবর হেঁটে এগিয়ে যান প্রায় দু কিলোমিটার। সেখানেই সদ্য মাটি খোঁড়া একটি গর্ত দেখতে পান তারা।

গাছের ডাল, শুকনো পাতা দিয়ে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে সেই গর্তটিকে। জঞ্জাল সরাতেই দেখা মেলে অলোকের মৃতদেহের। সঙ্গে সঙ্গে তারা খবর দেন স্থানীয় বিষ্ণুপুর থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেআইনি তারের বেড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে অলোকের। প্রমাণ লোপাটের জন্য পাশের জমির মালিক মৃতদেহটি জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দিয়েছিল। গ্রামবাসীদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই জমির মালিক মড়ার গ্রামের বাসিন্দা সাকির আলি খান ও তার কাকা সিরাজুদ্দিন খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours