জুলাইয়ের প্রথম ১৫ দিনে ভারতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ওই সময় মোট ৫ হাজার ৯৩৬ কোটি ইউনিট বিদ্যুত্‍ ব্যবহৃত হয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন শিথিল করার ফলে বেড়েছে আর্থিক কার্যকলাপ। তাছাড়া এবার বর্ষা এসেছে দেরিতে। এই দু'টি কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। গতবছর ১ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিদ্যুত্‍ ব্যবহার হয়েছিল ৫ হাজার ৭৯ কোটি ইউনিট। ২০১৯ সালে জুলাইয়ের প্রথম ১৫ দিনে ৫ হাজার ২৮৯ কোটি ইউনিট বিদ্যুত্‍ ব্যবহৃত হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে মোট ১১ হাজার ২১৪ কোটি ইউনিট বিদ্যুত্‍ ব্যবহৃত হয়। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে, অর্থাত্‍ অতিমহামারীর আগে ১১ হাজার ৬৪৮ কোটি ইউনিট বিদ্যুত্‍ ব্যবহৃত হয়েছিল। 
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিদ্যুতের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে বাজারে। অর্থনীতি যে কোভিড-পূর্ব স্তরে পৌঁছচ্ছে, তার নির্ভুল লক্ষণ দেখা গিয়েছে। আগামী দিনে বাজারে চাহিদা আরও বাড়বে। গত এপ্রিলে লকডাউনের ফলে চাহিদা হ্রাস পেয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী দিনে কোভিডের সংক্রমণ যত কমবে, তত শিথিল হবে কড়াকড়ি। তার ফলে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়বে। এদিন জানা যায়, দেশে করোনা সংক্রমণ কিন্তু সামান্য বেড়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে বলা হয়, দৈনিক আক্রান্ত ফের ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে করোনায় মৃত্যু কিছুটা কমেছে। সংক্রমণের হার মহারাষ্ট্র ও কেরলে সাঙ্ঘাতিক। বিশেষ করে কেরলে গত কয়েকদিনে দৈনিক সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। উত্তরপ্রদেশে কিছু জেলাতেও সংক্রমণের হার বেশি। সেইসব জেলাতে ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে রোগ সারিয়ে সুস্থও হয়েছেন ৩৯ হাজারের কাছাকাছি। আরও একটা ইতিবাচক দিক হল কোভিডের মৃত্যু কিছুটা কমেছে। কিছুদিন আগেও সংক্রমণে দৈনিক মৃত্যু হাজারের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। এখন তা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস সংক্রমণের মৃত্যু হয়েছে ৫৮১ জনের। মৃত্যুহারও দুই শতাংশের নীচেই আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কোভিড পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ১৫টি রাজ্যের প্রায় ৯০টি জেলা থেকে ৮০ শতাংশ সংক্রমণের খবর মিলেছে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও সংক্রমণ বেড়েছে। মহারাষ্ট্রের ১৫টি, কেরলের ১৪টি, তামিলনাড়ুর ১২টি, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটকের ১০টি করে জেলা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে কোভিড পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হারও বেশি। পজিটিভিটি রেট মানে হল প্রতি ১০০ জনের মধ্যে যতজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসবে তার শতাংশের হিসেব। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, দেশের উত্তর ও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। জুলাই ৮ তারিখের পর থেকে কোভিড পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হার আরও বেড়েছে কয়েকটি জেলায়। রাজস্থানের প্রায় ১০টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours