অভিভাবকরা বিজেপি করায় পাঁচ ছাত্রীকে কন্যাশ্রী  প্রকল্পের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দিচ্ছেন না তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ভাতারের আমারুন ১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে বিডিওর দ্বারস্থ হলেন পাঁচ ছাত্রী।

সোমবার ভাতারের আমারুন গ্রামের মৌসুমী মালিক, সুচিত্রা দাস, ঋত্বিকা সরকার, কুসুম সরকার নামে এই চার ছাত্রী এবং পল্লবী ঘোষ নামে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর মা অতসী ঘোষ মিলে বিডিওর দ্বারস্থ হন।

জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ ছাত্রী আমারুন স্টেশন শিক্ষানিকেতনে পড়েন। কেউ দশম, কেউ একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী তাঁরা। তাঁরা জানান, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুদানের জন্য স্কুল থেকে বলা হয়েছে আবেদনপত্র জমা দিতে।

আবেদন জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজন হয় পঞ্চায়েতের দুটি শংসাপত্রের। পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র এবং আবেদনকারী যে অবিবাহিতা তার প্রমাণপত্র।

ছাত্রীদের মধ্যে মৌসুমী মালিক বলেন,”আমরা ওই দুই শংসাপত্রের জন্য প্রধানের বাড়ি থেকে পঞ্চায়েত অফিসে বারবার গিয়েছি। কিন্তু প্রধান সাহেব আমাদের শংসাপত্র দিচ্ছেন না। আমাদের অভিভাবকরা বিজেপির হয়ে ভোটে প্রচার করেছিলেন। তাই আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘুরছি।”

এক ছাত্রীর মা অতসীদেবী বলেন,”বাড়ির লোকজন বিজেপি করায় জন্য এই পাঁচ ছাত্রীকে প্রধান শংসাপত্র দিচ্ছেন না। তার ফলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদন করতেই পারছে না এঁরা। তাই আমরা বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছি।”

উল্লেখ্য, আমারুন গ্রামেই বাড়ি আমারুন ১ পঞ্চায়েত প্রধান দীপক ভট্টাচার্যের। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি অবশ্য ভিন্ন দাবি করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধানের কথায়, “ওই ছাত্রীদের বাড়ির লোকজনই বলেছে, তাঁদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের সরকারি অনুদানের প্রয়োজন নেই। তবুও ওই ছাত্রীদের বাবাদের বলা হয়েছিল পঞ্চায়েত অফিসে দেখা করতে। কারণ, অভিভাবকরা ছাড়া নাবালিকা ছাত্রীদের শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি। এলেই শংসাপত্র পেয়ে যাবেন।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours