করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরই অমরনাথ যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছরের জন্য বন্ধ হয়ে গেল অমরনাথ যাত্রা। লেফটেন্যান্ট গভর্নরর মনোজ সিনহার সভাপতিত্বে মাজার বোর্ডের বৈছকে বার্ষিক অমরনাথ যাত্রা বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

অমরনাথজি শিরিন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মানুষের জীবন বাঁচানোই এখন প্রধান কর্তৃব্য।
বৃহত্তর জনস্বার্থের কারণেই চলতি বছর বন্ধ রাখা হয়েছে তীর্থযাত্রা। এখন এজাতীয় তীর্থ যাত্রা পরিচালনা করা ঠিক নয় বলেও জানান হয়েছে। একই সঙ্গে জানান হয়েছে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের অনুভূতি সম্পর্কেও রীতিমত সচেতন হয়েছে বোর্ড। আর সেই কারণেই অমরনাথজির গুহা থেকে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় আরতি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। চলতি বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমেই শিব দর্শন সারতে হবে ভক্তদের।

লেফটেন্যান্ট গর্ভনর জানিয়েছেন ভক্তরা যাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সকাল ও সন্ধ্যায় আতরিতে যোগ দিতে পারেন তা সমস্ত ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এটি শিব ভক্তদের ভ্রমণের সময় করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন। শ্রী অমরনাথজি শিরিন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নীতিশ্বর কুমার জাবিয়েছেন 'দেশের ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণের মূল্যায়ণ করেছেন। মহামারি রুখা আর দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ওপর জোর দেওয়াই তাঁদের মূল লক্ষ্য। আর সেই কারণেই চলতি বছর অমরনাথ দর্শন বব্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'

প্রতিবছরই ২৮ জুন ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া অমরনাথের গুহা। ২২ অগাস্ট পর্যন্ত তীর্থ যাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়। তারপর অবশ্য খারাপ আবহাওয়ার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ভ্রমণ। বছরের মাত্র ৫৬ দিনও খোলা থাকে অমরনাথের গুহা। হিমালয়ের ৩৮৮০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত হিন্দুদের অন্যতম তীর্থ কেন্দ্রটি। পহেলগাঁও আর বালতাল -দুটি পথেই পৌঁছান যায় অমরনাথের গুহায়। গত বছরও কোভিডের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যাত্রা। তার আগের বছর অর্থাত্‍ ২০১৯ সালেও আচমকাই নিরাপত্তার কারণে পর্যটকদের জম্মু ও কাশ্মীর খালি করা নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। সেই সময় মাঝ পথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অমরনাথ যাত্রা। যাত্রীদের দ্রুততার সঙ্গে নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সমতলে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours